Tuesday 1 September 2020

🌻সর্বভূতে শ্রীরামকৃষ্ণ🌻

 🌹🌻সর্বভূতে সেই প্রেমময়🏵️🌼

 🌼🏵️ জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ🌻🌹 





সকলের মধ্যে নিজেকে দেখা এবং সকলকে নিজের মধ্যে দেখা – এই হচ্ছে প্রকৃত সমদর্শিতা, প্রকৃত আত্মদর্শন। অর্থাৎ অন্যদের থেকে নিজেকে পৃথক না ভাবা , সকলের সুখেই নিজের সুখ , সকলের দুঃখেই নিজের দুঃখ মনে করা, সকলের সঙ্গে এই একাত্ম হয়ে যাওয়া ― এ যে বাস্তবে সম্ভব তা শ্রীরামকৃষ্ণ‌ই প্রমাণ করে গেছেন। এই প্রসঙ্গে নৌকার মাঝির ঘটনা মনে পড়ছে । গঙ্গা দিয়ে একটা নৌকা যাচ্ছে আর শ্রীরামকৃষ্ণ বসে আছেন দক্ষিনেশ্বরে গঙ্গার ঘাটে । নৌকার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। নৌকায় দু-জন মাঝি, দুই ভাই তারা। হঠাৎ কি কারণে দুই ভাই-এর মধ্যে ঝগড়া বাধলো। প্রথমে বচসা , পরে বড় ভাই ছোটো ভাই -এর পিঠে দারুণ এক চপেটাঘাত করলো। এই চপেটাঘাতের সঙ্গে সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ চিৎকার করে উঠলেন। বললেন :: "" মারলো, মারলো আমাকে মারলো।"" সবাই ছুটে এলো শ্রীরামকৃষ্ণের চিৎকার শুনে ― দেখতে কে এমন নরাধম আছে যে এই দেবতুল্য ব্যক্তির দেহে আঘাত করে । সবাই এসে দেখলো :: শ্রীরামকৃষ্ণের দেহে পাঁচ আঙুলের দাগ। সত্যি সত্যিই কে যেনো তাঁকে মেরেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে দেখিয়ে দিলেন নৌকার দিকে। বড় ভাই মেরেছে ছোটো ভাইকে , কিন্তু সে আঘাত তাঁর‌ই শরীরে লেগেছে। তিনি সেই বেদনা অনুভব করেছেন, সেই আঘাতের চিহ্ন তাঁর শরীরে। একেই বলে একাত্মতা । যেমন মানুষের প্রতি দরদ , তেমন‌ই জীবজন্তু, উদ্ভিদের প্রতিও তাঁর দরদ । এ-ই ভারতের আদর্শ‌। সর্বভূতে এক‌ই আত্মা । তাই একের দুঃখে সকলের দুঃখ, সবাই সবার সুখ দুঃখের অংশীদার।

     এই অনুভূতি সহজসাধ্য নয়, তাই যতদিন না হয় ততদিন সকল মানুষের মধ্যে ঈশ্বর বিরাজ করছেন এই বুদ্ধিতে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে শ্রীরামকৃষ্ণ শিক্ষা দিলেন। অর্থাৎ প্রত্যেক মানূষ‌ই ঈশ্বরের প্রতিনিধি বা প্রতীক। কেউ অবজ্ঞার পাত্র নয়। ঈশ্বর-বুদ্ধিতে সবাইকে শ্রদ্ধা কর, ভালবাস, শিবজ্ঞানে জীবের সেবা কর। স্বামী বিবেকানন্দ পরে এই বাণী প্রচার করলেন ― বললেন এই হচ্ছে " যুগধর্ম"।।


Book Name:- "বিশ্ববরেন্য শ্রীরামকৃষ্ণ"

থেকে সংগৃহীত।

স্বামী লোকেশ্বরানন্দ।


🙏🏵️🌻🌺জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🌺🏵️🌻🙏

No comments:

Post a Comment

মানসপুত্র নেতাজী

 🌿 মানসপুত্র নেতাজী 🍁 🌻১৯০২ সালের জানুয়ারীতে সুভাষচন্দ্রের পিতা তাঁকে কটকের মিশনারী স্কুলে ভর্তি করে দিলেন, পুত্রের প্রাথমিক বিদ্যা লাভে...