শ্রীমাকে শ্রী শ্রী ঠাকুরের মাতৃজ্ঞানে পূজা
১২৭৯ সালের ২৪শে জৈষ্ঠ অমাবস্যা তিথিতে ফলহারিণী কালিকাপূজার দিন শ্রীমাকে ষোড়শীরূপে পূজা করলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তাঁর সম্মুখে পূজার নৈবেদ্য প্রদান করে প্রার্থনামন্ত্র উচ্চারণ করলেন, "হে বালে, হে সর্বশক্তির অধীশ্বরী মা ত্রিপুরাসুন্দরী, সিদ্ধিদ্বার উন্মুক্ত কর, এঁর(শ্রীমায়ের) শরীর মনকে পবিত্র করে এঁর মধ্যে আবির্ভূতা হও এবং সর্বকল্যাণসাধন কর।" পূজার মধ্যে শ্রীমা বাহ্যজ্ঞান শূন্য হয়ে সমাধিস্থা হলেন। শ্রীরামকৃষ্ণও অর্ধবাহ্যদশায় মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে সমাধিরাজ্যে চলে গেলেন। সমাধিস্থা দেবীর সামনে সমাধিস্থ পূজক― এইভাবে দীর্ঘক্ষণ কেটে গেল। মাঝরাতের অনেক পরে শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি ভাঙল। তখন তিনি নিজেকে , নিজের সাধনার ফল, জপের মালা ইত্যাদি সর্বস্য 'দেবী'র পায়ে চিরকালের জন্য বিসর্জন দিয়ে পূজা শেষ করলেন। ক্রমশ শ্রীমা বাহ্যভূমিতে ফিরে এলেন। এই পূজার ফলে শ্রীমা শ্রীরামকৃষ্ণের সমস্ত সিদ্ধির অধিকারী হলেন। যে দেবীশক্তি তাঁর মধ্যে সুপ্ত হয়ে ছিল, এর দ্বারা তার উদ্বোধন হলো , যার সাহায্যে তিনি পরবর্তীকালে শ্রীরামকৃষ্ণের অসমাপ্ত লোককল্যাণ-ব্রত সম্পূর্ণ করেছিলেন। পত্নীকে জগজ্জননী জ্ঞানে পূজা আধ্মাত্মিক ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম।
Book Name:- "বিশ্ববরেণ্য শ্রীরামকৃষ্ণ" বই থেকে সংগৃহীত।
স্বামী লোকেশ্বরানন্দ।
🌺🌻🙏🕉️জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🕉️🙏🌻🌺
🌻🏵️🌾🌿🌻🌾🌿🌻🏵️🌾🌿🌻🏵️🌾🌿🌻🌷🌾🌿🌷🌾🌿🌺🌾🌿🌺🌾🌿
No comments:
Post a Comment