Wednesday, 14 October 2020

 শ্রীমা এবং রাধুর একটি ঘটনা:-


শ্রীরামকৃষ্ণের এবং স্বামী বিবেকানন্দেরও দেহত্যাগের পরের ঘটনা। দক্ষিণাত্যে ঘুরতে ঘুরতে মা তাঁর ভাইঝি রাধু ও অন্যান্যদের নিয়ে এসেছেন পামবান দ্বীপে রামেশ্বর শিব মন্দির দেখতে। ওই দ্বীপ ও মন্দির তখন রামনাদের রাজার অধীনে― যিনি ছিলেন স্বামীজীর শিষ্য । তিনি মন্দিরে কর্মচারীদের বলে পাঠিয়েছিলেন " আমার গুরুর গুরু পরম গুরু যাচ্ছেন― সব ব্যবস্থা করবে।" তাদের বিশেষ ব্যবস্থা অনুযায়ী মা গর্ভমন্দিরে গিয়ে মনের সাধে রামেশ্বর শিবলিঙ্গকে পুজো করলেন। তারপর রাজার ইচ্ছা - অনুযায়ীই একদিন তাঁরা মাকে মন্দির-সংলগ্ন কোষাগারটি ঘুরিয়ে দেখালেন। রাজার নির্দেশ ছিল: মা বা তাঁর সঙ্গীরা যদি কোষাগার থেকে কিছু নিতে চান সঙ্গে সঙ্গে যেন তা দেওয়া হয়। মা-কে তাঁরা সেকথা বললে মা বললেন : "আমার আর কি প্রয়োজন?" পরে, পাছে তাঁরা মনক্ষুন্ন হন এই ভেবে বললেন :" আচ্ছা , রাধুর যদি কিছু দরকার হয়, নেবে এখন।' রাধুকে বললেন, " দেখ, তোর যদি কিছু দরকার হয়, নিতে পারিস।" কিন্তু কোষাগার খুলতেই যখন হিরা-জহরতের সব জিনিস ঝকমক করে উঠলো, তখন মায়ের বুক দুরদুর করে উঠলো,শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে তিনি আকুল মনে প্রার্থনা করতে লাগলেন , " ঠাকুর, রাধুর যেন কোন বাসনা না জাগে।" ঠাকুর সে প্রার্থনা নিশ্চয়ই শুনলেন; কারণ বালিকা রাধু সব দেখেশুনে বললো : "এ আবার কি নেব?" ওসব আমার চাই না। আমার লেখবার পেন্সিলটা হারিয়ে ফেলেছি, একটা পেন্সিল কিনে দাও।' মা নিশ্চিন্ত হলেন এবং রাস্তার একটা দোকান থেকে রাধুকে দু-পয়সার একটা পেন্সিল কিনে দিলেন।

       শ্রীরামকৃষ্ণকে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন : ত্যাগ-সম্রাট। শ্রীমা সর্বক্ষেত্রে , ত্যাগের ক্ষেত্রেও তার উপযুক্ত সহধর্মিনী ― ত্যাগসম্রাজ্ঞী। 



*(সংগৃহীত)*


🙏🏵️🌻🌺জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🌺🏵️🌻🙏

No comments:

Post a Comment

মানসপুত্র নেতাজী

 🌿 মানসপুত্র নেতাজী 🍁 🌻১৯০২ সালের জানুয়ারীতে সুভাষচন্দ্রের পিতা তাঁকে কটকের মিশনারী স্কুলে ভর্তি করে দিলেন, পুত্রের প্রাথমিক বিদ্যা লাভে...