Tuesday, 23 January 2024

মানসপুত্র নেতাজী



 🌿 মানসপুত্র নেতাজী 🍁


🌻১৯০২ সালের জানুয়ারীতে সুভাষচন্দ্রের পিতা তাঁকে কটকের মিশনারী স্কুলে ভর্তি করে দিলেন, পুত্রের প্রাথমিক বিদ্যা লাভের জন্য। কিন্তু মাত্র পাঁচ মাস পরে অর্থাৎ ১৯০২ সালের জুলাই মাসে এক কঠিন পীড়ায় কাতর হয়ে পড়লেন, পাঁচ বছর ছয় মাস কয়েকদিন বয়সের শিশু সুভাষ।


কটকে তখন নামকরা ডাক্তারের অভাব সর্বজনবিদিত। তবু তার মধ্যেই, ভালো ভালো ডাক্তারের এমনকি শেষ পৰ্যন্ত কলকাতা থেকেও বড় ডাক্তারের ব্যবস্থা করেছিলেন জানকীনাথ বসু। কিন্তু ঠিক ৪ঠা জুলাইয়ের রাত্রে সুভাষের অবস্থা অত্যন্ত চরমে উঠলো -- জীবন ও মৃত্যুর প্রতিযোগীতা আরম্ভ হল।


সেদিন সন্ধ্যা থেকেই বাদলের বারিধারা বোধকরি আকুল হয়ে কেঁদেছিলো; ক্ষণে ক্ষণে ক্ষীণ চাঁদ বিস্ময় বিস্ফারিত নেত্রে উঁকি মেরে দেখতে চেষ্টা করছিল শিশু সুভাষের অসাড় নিস্পদ দেহখানা। রাত্রি প্রায় তখন ন'টা। আকস্মাৎ ! ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলেন 'গৌরিক উত্তরীয় পরিধানে এক সুদর্শন দিব্যপুরুষ'। চেতনাহীন সুভাষের পিতা ও মাতা এই দৃশ্য দেখে হতবাক !


ভাবগম্ভীর সেই 'দিব্যপুরুষ' চেতনাহীন সুভাষের বক্ষস্থলে ধীরে ধীরে বার কয়েক হাত বুলিয়ে দিয়ে তিনি নিঃশব্দে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। কাউকে কোনো কিছু বলবার অবকাশও দিলেন না -- ঐ সুদর্শন দিব্যপুরুষ। ঐ ন'টা দশ মিনিটে একটা চরম অবস্থাকে অতিক্রম করে সুভাষ যেন পুনঃজন্ম লাভ করলেন।


আরো আশ্চৰ্য্য ! ঐ ১৯০২ সালের ৪ঠা জুলাই শুক্রবার স্বামী বিবেকানন্দ মহাসমাধি লাভ করলেন। ..... এ এক অতি আশ্চৰ্য্য যোগাযোগ ! হয়তো মহাসমাধির পূর্বে আপন আত্মাকে স্বামীজী সুভাষের দেহে দিয়ে গেলেন ! আত্মা অবিনশ্বর -- তাই সেই আত্মা সুভাষের দেহে প্রাণ পেল। স্বামীজী ও সুভাষ তাই একই আত্মার ভিন্ন দুটি লীলা বলা চলে। এই ঘটনার পর থেকেই সুভাষ ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠতে লাগলেন।


পরমপুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব যেমন নরেন্দ্রনাথকে স্বামী বিবেকানন্দ'য় পরিনত করেছিলেন -- ঠিক তেমনভাবে স্বামীজীও সুভাষচন্দ্রকে বিশ্বপিতায় রূপান্তরিত করে দিয়ে গেলেন।🏵️


🌿নেতাজী তাঁর আদর্শ স্বামীজী সম্বন্ধে বলছেন.........


★"আজ তিনি জীবিত থাকলে, আমি তাঁর চরণেই আশ্রয় নিতাম। আজ যদি স্বামীজী জীবিত থাকতেন, নিশ্চয়ই তিনি আমার গুরু হতেন অর্থাৎ তাঁকে আমি নিশ্চয় গুরুপদে বরণ করতাম।"


★"শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের নিকট আমি যে কত ঋণী তাহা ভাষায় কী করিয়া প্রকাশ করিব? তাঁহাদের পুণ্য প্রভাবে আমার জীবনের প্রথম উন্মেষ। চরিত্রগঠনের জন্য ‘রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সাহিত্য’ অপেক্ষা উৎকৃষ্ট সাহিত্য আমি কল্পনা করিতে পারি না।"


★"বিবেকানন্দের কথা বলতে গেলে হারিয়ে ফেলি নিজেকে। কে বুঝবে তাঁকে -কে বুঝেছে তাঁকে? অসম্ভব। সুগভীর তিনি, জটিল, ঋদ্ধময়। ত্যাগে বেহিসেবী, কর্মে বিরামহীন, প্রেমে সীমাহীন, জ্ঞানে সমুদ্রগভীর, সমালোচনায় অগ্নিবর্ষী, আর সারল্যে -শিশু -একেবারে শিশু। এ জগতে তাঁর তুল্য কেউ নেই, কেউ নয় ...আমি কে, যে বলব তাঁর কথা?"

                                       —নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু🌿 


🌟আজ নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর শুভ জন্মদিনে জানাই বিনম্র প্রণতি।

🧡জয় হিন্দ!!!


🙏🧡শুভ জন্মদিন হে নেতাজী ❤️ 🙏


জয় স্বামীজী 

জয় নেতাজী 

#

(সংগৃহীত)


🌿🌻🙏🏻জয় দিব্য ত্রয়ী 🙏🏻🌻🌿

🌿🍁🌿🍁🌿🍁🌿🍁🌿🍁🌿🍁

No comments:

Post a Comment

মানসপুত্র নেতাজী

 🌿 মানসপুত্র নেতাজী 🍁 🌻১৯০২ সালের জানুয়ারীতে সুভাষচন্দ্রের পিতা তাঁকে কটকের মিশনারী স্কুলে ভর্তি করে দিলেন, পুত্রের প্রাথমিক বিদ্যা লাভে...