Thursday 18 January 2024

স্বামীজির বলা এক অদ্ভুত ঘটনা



স্বামীজী একদিন কথাপ্রসঙ্গে একটি অদ্ভুত ঘটনার কথা বললেন। তিনি অবশ্য ঘটনাটির কোনরকম ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করেননি। শুধু বলে গেলেন:


''আমি তখন এক শহর থেকে আরেক শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছি আর একটার পর একটা বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছি। এমনও বহুদিন গেছে একই দিনে বেশ কয়েকটি সভায় বলতে হয়েছে।


একদিন মাঝরাতে ইজিচেয়ারে বসে বসে ভাবছি— আচ্ছা, অনেক তো বক্তৃতা দিলাম। যে-যে বিষয়ে আমি বিশেষভাবে চিন্তা-ভাবনা করেছি, তা তো সবই হয়ে গিয়েছে। এখন যাই বলতে যাবো সেটাই পুরনো কথার পুনরাবৃত্তি হবে, যেটা আমি চাই না, অথচ শিরে সংক্রান্তি! পরের দিনই একটা বক্তৃতা আছে। কি করি?


এইসব সাত-পাঁচ ভাবছি আর নিজের এই দুরাবস্থার জন্য মনে মনে ঠাকুরকে খুব দুষছি। এমনি সময় কি হলো জানো? হঠাৎ ঠাকুরের গলা শুনতে পেলাম। তিনি আমার উদ্দেশ্যে কথা বলে উঠলেন। সেই মুহূর্তে আমার চোখ বন্ধ ছিল; ফলে তাঁকে দেখতে পাইনি। শুধু তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতে লাগলাম। একটানা বেশ কিছুক্ষণ বলবার পর তিনি বললেন: 'এই দেখ, তুই এই, এইভাবে বলবি। এর জন্য অত চিন্তা করছিস কেন?'

আমি খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম! কিন্তু, সে যাই হোক, পরবর্তী বক্তৃতার বিষয়বস্তু জানতে পেরে আমি তো খুব খুশি। কিন্তু আর কিছু বিস্ময় তখনো যে আমার জন্য অপেক্ষা করছে, তা জানতাম না। জানলাম পরদিন সকালে, যখন আমারই ঠিক পাশের ঘরের এক ভদ্রলোক এসে জিজ্ঞাসা করলেন, 'আচ্ছা মশাই, গতকাল রাতে আপনার সঙ্গে কে কথা বলছিলেন, বলুন তো? তিনি এমন একটি ভাষায় কথা বলছিলেন যে, আমি তাঁর বক্তব্যের বিন্দুবিসর্গও বুঝতে পারলাম না।'


'ঠাকুর বাংলাতেই কথা বলেছিলেন। যাই হোক, ওঁর কথা শুনে আমি একেবারে আশ্চর্য! আমি না হয় শুনলাম, কিন্তু পাশের ঘর থেকে উনি কি করে ঠাকুরের কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন, এ আমার কিছুতেই মাথায় এল না।''


🖋️—মন্মথনাথ গঙ্গোপাধ্যায়


জয় ঠাকুর মা স্বামীজী 🙏🏻❤️🌻🌼🌸💮🏵️🌺💐🙏🏻

No comments:

Post a Comment

মানসপুত্র নেতাজী

 🌿 মানসপুত্র নেতাজী 🍁 🌻১৯০২ সালের জানুয়ারীতে সুভাষচন্দ্রের পিতা তাঁকে কটকের মিশনারী স্কুলে ভর্তি করে দিলেন, পুত্রের প্রাথমিক বিদ্যা লাভে...