🍁🍂🍁-:পশু পাখিরও মা:-🍁🍂🍁
🌿"মায়ের বাটীতে একটি চন্দনা পাখী বহু দিন যাবৎ আছে, পুরাতন বাড়িতেও ছিল। মা তাহাকে 'গঙ্গারাম' বলিয়া ডাকিতেন। গঙ্গারামকে সকালে ও সন্ধ্যায় মা বলিতেন, 'বাবা গঙ্গারাম। পড় তো, গঙ্গারাম পড়, বাবা, পড়।' গঙ্গারাম অমনি 'হরে কৃষ্ণ হরে রাম, কৃষ্ণ কৃষ্ণ রাম রাম' বলিয়া পড়িত।... মাঝে মাঝে গঙ্গারাম 'মা, মা, ওমা' বলিয়া ডাকিয়া উঠিলে শ্রীশ্রীমা তখনই বলিতেন, 'যাই বাবা, যাই।' এই বলিয়া শ্রীশ্রীমা তখনই গঙ্গারামকে ছোলা, জল, ফল ইত্যাদি খাইতে দিতেন।.. গঙ্গারামের 'মা,মা, ওমা' বলিয়া চীৎকার করার অর্থ--- তখন তাহার ক্ষুধা পাইয়াছে এবং তাহার বাটিতে হয়তো খাবার ছোলা-জল ফুরাইয়া গিয়াছে। যখনই ঐরূপ হইয়াছে, তখনই গঙ্গারাম ওইভাবে 'মা, মা, ওমা' বলিয়া ডাকিত। শ্রীশ্রীমা উহা বুঝিতে পারিয়াই বলিতেন, 'যাই, বাবা, যাই।' এই বলিয়া কিছু না কিছু খাবার গঙ্গারামকে দিতেন।"🌿
🖋️ মাতৃসান্নিধ্যে।
স্বামী ঈশানানন্দ,
উদ্বোধন কার্যালয়, পৃষ্ঠা সংখ্যা ২০০-২০১।
🔶️🔷️🔶️🔷️🔶️🔷️🔶️
🌱"একবার মঠ থেকে একটি গোরু এনে উদ্বোধন-এ রাখার কথা হয়েছিল। মা ঐকথা শুনেই বললেন : "না না, ওরা ওখানে গঙ্গাদর্শন করছে, স্বাধীনভাবে বিচরণ করছে। আর সাধুসঙ্গ হচ্ছে। এখানে এনে কিনা একটা ঘরে পুরে গলায় দড়ি দিয়ে রাখবে ! তা হবে না। অমন দুধ খেতে পারব না।" আনতে আর দিলেন না।
এতেই বোঝা যাচ্ছে, মা পিঁপড়েরও মা।"🌱
🖊️ শ্রীশ্রীমায়ের পদপ্রান্তে।
সঙ্কলক ও সম্পাদক: স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ,
চতুর্থ খন্ড, পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮৯৪।
🙏🏻🕉️জয়তু দিব্যত্রয়ী🕉️🙏🏻
(★এরকম পোস্ট নিয়মিত পেতে ফেসবুক পেজটি ফলো করে রাখুন ★)
🌿🏵️🌱🏵️🌿🏵️🌿🏵️🌱🏵️🌿
No comments:
Post a Comment