Wednesday 13 January 2021

Belur Math Durga Puja History

 🍁*বেলুড় মঠে স্বামীজীর দুর্গা পুজোর ইতিহাস*🍁:-




    স্বামী বিবেকানন্দ প্রবর্তিত বেলুড় মঠের দুর্গাপূজা (১৯০১) শতবর্ষ পার হয়ে গেলেও আজও তা মহা আড়ম্বরেই উদযাপিত হয়। যদিও সন্ন্যাসীরা বৈদিক পূজা বা ক্রিয়াকা- করার অধিকারী নন, তবুও তারা এ পুজো করেছিলেন কেন এ কৌতূহল সবার।১৮৯৩ সালে আমেরিকা থেকে স্বামীজী তাঁর প্রিয় গুরু ভাই স্বামী শিবানন্দজীকে একটি চিঠি লিখেন। বিশ্বধর্ম সভায় স্বামীজীর তখন জয়-জয়কার। এই সময়েই তিনি শ্রী রামকৃষ্ণ আন্দোলনকে বিশ্বব্যাপী বিস্তার করার মানসেই একটি স্থায়ী মঠ নির্মাণের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। শক্তিরূপিণী মা সারদামণি তাঁর এই প্রেরণার উৎস। তখনও বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শক্তিরূপিণী মা সারদা সম্বন্ধে স্বামী শিবানন্দজীকে লিখিত তাঁর একটি চিঠি থেকে যা জানা যায় তা হলো "...আমাদের দেশ সকলের অধম কেন, শক্তিহীন কেন? শক্তির অবমাননা সেখানে বলে। মা-ঠাকুরাণী ভারতে পুনরায় সেই মহাশক্তি জাগাতে এসেছেন, তাঁকে অবলম্বন করে আবার সব গার্গী, মৈত্রেয়ী জগতে জন্মাবে।...এই জন্য তাঁর মঠ প্রথমে চাই।" এ জন্যই মঠের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন স্বামীজী। মাতৃময়ী শক্তিরূপিণী মা সারদাকে স্বামীজী ভালভাবেই চিনেছিলেন। মা সারদা সবার প্রিয় মা। এক সময় (সম্ভবত ১৮৯১ সাল) গ্রামে একজন বৈরাগী হরিদাস এসে প্রায়ই একটি আগমনী গান গাইত। 'কি আনন্দের কথা উমে (গো মা)(ওমা) লোকমুখে শুনি সত্য বল শিবানি,অন্নপূর্ণা নাম তোর কি কাশীধামে?অপর্ণে তোমায় যখন অর্পণ করি। ভোলানাথ ছিলেন মুষ্টির ভিখারী।' এই গান শুনে চোখের কোণে জলে ভরে উঠত সারদার মা শ্যামা সুন্দরীর। এ গানের মধ্যে তিনি খুঁজে পেতেন মেয়ে সারদার জীবনের প্রতিচ্ছবি। কারণ পাড়াপ্রতিবেশী সবাই মেয়ে জামাতা গদাধরকে (রামকৃষ্ণ) সবাই পাগল, ক্ষ্যাপা বলত। কত কথা শুনতে হতো সারদার মাকে। রাত-দিন জামাই দক্ষিণেশ্বরে মা-মা করে কাঁদে পাগলের মতো। গাঁয়ের ছেলেবুড়ো সবাই কানাকানি করত সেসব। শুনে শ্যামাসুন্দরী কি যে দুঃখ পেতেন। তবু মনে ভরসা রাখতেন যে, সব মিথ্যে। জামাই আসলে সাক্ষাৎ শিব। সারদা স্বামীর কথা শুনে দক্ষিণেশ্বরে ছুটে গিয়েছিলেন। পরে দেখলেন মানুষের কথা সব মিথ্যে। ঈশ্বরে সমর্পিত চিত্ত ভাবে বিভোর স্বামীকে সকলে পাগল ভেবেছে।আর এই গদাধরের তথা শ্রীরামকৃষ্ণের যোগ্য সহধর্মিণী এই মা সারদা।  স্বামীজী সে কথা বুঝেছিলেন বলেই মাকে শক্তিরূপে জেনেছিলেন। এমন কি এই শক্তিময়ী মাকে "জ্যান্ত দুর্গারূপে" পুজোও করেছিলেন। দুর্গা হলো মহাশক্তিরূপা। তাই দুর্গাপূজা হলো শক্তি দেবতারই আরাধনা। এই শক্তি মূলত মাতৃরূপে সৃষ্টি, স্থিতি ও সংহারকারী রূপে প্রকাশিতা।বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠিত হবার সময় গোড়া থেকে নিষ্ঠাবান হিন্দুদের মধ্যে স্বামীজী সম্পর্কে এক বিরূপ মনোভাব ছিল। কারণ তাদের মতে, স্বামীজী বিদেশ প্রত্যাগত, তাই সেই মঠে আচার নিষ্ঠা সম্বন্ধে অনেকেরই সন্দেহ ছিল। তারা সন্ন্যাসীদের নিয়ে নানা কাল্পনিক গল্প বানাত ও নিন্দাচর্চা করত। কিন্তু পরে স্বামীজীর ভক্তিভাবের পূজানুষ্ঠান তাদের সে ধারণাকে পাল্টে দেয়।আবার এও শোনা যায়, স্বামীজী যখন বেলুড় মঠে দুর্গাপূজা করার বিষয় চিন্তা করছিলেন, সে সময় তাঁর জনৈক সন্ন্যাসী ভ্রাতার একটি অলৌকিক স্বপ্ন দর্শনও হয়। তিনি দেখেন যে সাক্ষাৎ মা দশভুজা দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে গঙ্গার ওপর দিয়ে বেলুড় মঠের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। এ স্বপ্ন বৃত্তান্ত অবগত হবার পর স্বামীজী পুজোর আরেক উৎসাহী হয়ে ওঠেন। যথা সময়ে মায়ের অনুমতিও মিলল। আবার স্বামীজী খুশি মনে রঘুনন্দনের একখানা "অষ্টাবিংশতি-তত্ত্ব" ও সংগ্রহ করেন। স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর ওপর পুজোর উপকরণ সংগ্রহের ভার পড়েছিল। যথাসময়ে কুমোরটুলী থেকে প্রতিমা এসেছিল।পুজোর ক'দিন বেলুড় মঠে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। পুজোয় বোধনের আগের দিন থেকেই স্বামীজীর জ্যান্ত দুর্গা শ্রী মা বেলুড় মঠের পাশেই একটি ভাড়াটে বাড়িতে এসে ওঠেন। ষষ্ঠীর দিন থেকেই বেলুড় মঠে আনন্দ আর ধরে না। শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের শিষ্যরা তো নিমন্ত্রিত হয়েছিলেন। এছাড়া বেলুড়, বালি ও উত্তর পাড়ার নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণেরাও আমন্ত্রিত হয়েছিল। তবে শোনা যায়, এরপর থেকে গোঁড়া হিন্দুদের বেলুড় মঠ সম্বন্ধে বিদ্বেষ কমতে শুরু করে।১ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) ষষ্ঠীতে বিশ্বতলায় দেবীর বোধন হয়। "গিরি গণেশ আমার শুভকারী,পূজে গণপতি পেলাম হৈমবতীচাঁদের মালা যেন চাঁদ সারি সারি ॥বিশ্ব বৃক্ষ মূলে পাতিয়া বোধন,গণেশের কল্যাণে গৌরীর আগমন,ঘরে আনব চণ্ডী, কর্ণে শুনব চণ্ডীআসবে কত দণ্ডী জটাজুটধারী।" স্বামীজীর সেই আগমনী গানই সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হয়। শ্রী মায়ের অনুমতি নিয়েই শ্রীদুর্গার বোধন, অধিবাস ও ষষ্ঠীপূজা এবং পূজায় অধিষ্ঠিত হন ব্রহ্মচারী কৃষ্ণলাল এবং তন্ত্রধারক হলেন স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের (শশী মহারাজ) পূর্বাশ্রমের পিতা ঈশ্বর চন্দ্র চক্রবর্তী।পূজারীর দীর্ঘকেশ রুদ্রাক্ষমালা পরিশোভিত অবয়ব দাড়ি-গোঁফ সংবলিত তেজোদীপ্ত, মুখমণ্ডলকণ্ঠে মন্ত্রোচ্চারণ সকলকে বিমুগ্ধ করে তোলে। পূর্ণসলিলা গঙ্গাবক্ষে ভোরে সানাইয়ের সুমধুর রাগ-রাগিণী আকাশে বাতাসে সুর ছড়ায়। আর ঢাকের আওয়াজে চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে।সপ্তমীর দিন স্বামীজী সবার সঙ্গে হাসি, কৌতুক, এদিক-ওদিক পায়চারী করেছেন, কখনওবা ধ্যানমগ্ন, শান্ত সমাহিত চিত্তে বসে আছেন। কখনও বা গুনগুন করে গান গাইছেন -"সদানন্দময়ী কালী, মহাকালের মনোমোহিনী।তুমি আপনি নাচ, আপনি গাও,আপনি দাও মা করতালি"। রোববার মহাষ্টমী। মঠে অসংখ্য নর-নারী পুজোয় ভিড় করেছে। কেউ কেউ স্বামীজীকে দর্শন করতে এসেছেন। চারদিকে আনন্দ আর আনন্দ আনন্দ যেন আর ধরে না। হাজার হাজার লোক বসে প্রসাদ গ্রহণ করছে। বিশেষ করে দরিদ্র নারায়ণের বিশেষ যত্ন এই ছিল স্বামীজীর আদেশ। কিন্তু তিনি মহাষ্টমীর দিন জ্বরে শয্যাশায়ী হলেন। 'শ্রী শ্রী মায়ের কথায়' (প্রথমভাগ) -এ আছে শ্রী মা বলছেন, "পুজোর দিন লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। ছেলেরা সবাই খাটছে। নরেন এসে বলে কি, 'মা, আমার জ্বর করে দাও।' ওমা, বলতে না বলতে খানিকবাদে হাড় কেঁপে জ্বর এল। আমি বলি, 'ওমা একি হলো, এখন কি হবে?' নরেন বললে, 'কোন চিন্তা নাই মা। আমি সেধে জ্বর নিলুম এই জন্যে যে, ছেলেগুলো প্রাণপণ করে তো খাটছে, তবু কোথাও কি ত্রুটি হবে, আমি রেগে যাব বকব, চাই কি দুটো থাপ্পড়ই দিয়ে বসব। তখন ওদেরও কষ্ট হবে। আমারও কষ্ট হবে। তাই ভাবলুম কাজ কি, থাকি কিছুক্ষণ জ্বরে পড়ে।'" পরদিন সোমবার। প্রাতে সন্ধিপূজা ভোর সাড়ে ছয়টার কিছু পরে সন্ধিপূজা আরম্ভ স্বামীজী পূজামন্ডপে এসে বসলেন। শ্রীদুর্গা মায়ের রাঙ্গা চরণে পুষ্পাঞ্জলি দিলেন। উজ্জ্বল, জ্যোতির্ময় সহাস্য মুখমণ্ডল ভাবগম্ভীরভাবে বসে আছেন। যথাবিধি কুমারী পূজাও হলো। স্বামীজীও কুমারী পূজা করলেন। সে এক অপূর্ব দৃশ্য : শ্রী মা তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সাধারণত অষ্টমীতেই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু স্বামীজী অসুস্থ ছিলেন বলে পরে পুজো করলেন।বেলুড় মঠের দুর্গাপূজার একটি বিশেষ অনুষঙ্গ হলো কুমারী পূজা। শ্রী রামকৃষ্ণ কুমারীকে ভগবতীর অংশ বলেছেন। শ্রী মা সারদা দেবীকে ষোড়শী রূপে পূজা করা আবার সাধনার শেষে শ্রী রামকৃষ্ণ ষোড়শী রূপিণী জগন্মাতার শ্রীচরণে তাঁর সব সাধনার ফল সমর্পণ করেন। শ্রী রামকৃষ্ণের মতে, মাতৃভাব বড় শুদ্ধভাব কুমারীকে দেবী দেখা তাকে জননীজ্ঞানে পূজা করা সেই শুদ্ধ সত্ত্বভাবেরই সার্থক প্রকাশ।বেলুড় মঠের দুর্গাপূজায় মায়ের নির্দেশে পশুবলি নিষিদ্ধ হয়। তবে নিয়ম রক্ষা কল্পে কিছু ফল বলি হিসেবে উৎসর্গ করা হয়। তাই নবমীতে পশুবলি হয় না।মহানবমীর সন্ধ্যা আরতির পর স্বামীজী স্বয়ং ভজন গান গাইলেন। ঠাকুর যেসব গান নবমীর রাতে গাইতেন সেসব গানেরই কয়েকটি গাওয়া হয়েছিল।নবমী নিশি পোহালেই বিজয়াদশমী। ৫ কার্তিক মঙ্গলবার বিজয়া দশমী। বেলুড় মঠের আনন্দ মুখরিত চারটি দিনের পরিসমাপ্তি এই বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। বেলাশেষে দলে দলে লোক মঠে বিসর্জন দেখতে ভিড় জমায়। গঙ্গতীরে মঠের ঘাটটি লোকে-লোকারণ্য হলো। ঢাকঢোল, সানাইর সঙ্গে ইংরেজী বাদ্য ব্যান্ড বেজে ওঠে। গঙ্গাবক্ষে যখন নৌকায় প্রতিমা তোলা হয় তখন চারদিকে "গঙ্গামায়ী কী জয় দুর্গামায়ী কী জয়" শত শত কণ্ঠে ধ্বনিত হয়। স্বামী ব্রহ্মানন্দ নৌকায় দেবী প্রতিমার সম্মুখে ভাবে বিভোর হয়ে নৃত্য করতে থাকেন। সবাই নৃত্য দেখতে থাকেন এমন কি স্বামীজী ভগ্ন স্বাস্থ্যে ভিড়ে নিচে নামেননি, কিন্তু মহারাজের নাচের কথা শুনে দোতলায় এসে নৃত্য উপভোগ করেন। আর গগনবিদারী "দুর্গা মায়ী কী জয় গঙ্গা মায়ী কী জয়" আওয়াজে এক সময় দেবীর বিসর্জন সম্পন্ন হয়।স্বামী বিবেকানন্দের প্রবর্তিত বেলুড় মঠের দুর্গাপূজা একশ আঠারোতম বছরের ঐতিহ্য বহন করে আজও মহা ধুমধামের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।


তথ্যসূত্র : বেলুড় মঠে স্বামীজীর দুর্গা পূজা (স্বামী দেবেন্দ্রানন্দ)


জয় মা দুর্গা

জয় ঠাকুর মা স্বামীজী

Belur Math Durga Puja 2020 special miracleous incident

 



বেলুড় মঠে #মহানবমী র হোম শেষে ব্রহ্মচারী দুর্গাচৈতন্য মহারাজ জী যখন হোমকুন্ড তে অবশিষ্ট ঘি অর্পন করছেন তখনই ক্যামেরায় ধরা পড়ল এই দৃশ্য!

#ভক্তের কল্পনা দিয়ে দেখলে দেখতে পাওয়া যাবে এক দেবী অগ্নি থেকে উত্থিতা হচ্ছেন, তাঁর ডান হাতে ধরা অগ্নিময় পদ্ম আর বামহাতে অগ্নিময় কমন্ডলু আর শিরোভূষণ হিসাবে অগ্নিময় স্বর্ণমুকুট বিরাজিত।
হে দেবী! হে প্রসন্নবরদা! হে জগদ্ধাত্রী! তুমি জগতের সকলকে আশির্বাদ করো! সকলেই শান্তিলাভ করুক! রোগ-শোক-দুঃখ-জ্বালার প্রশমন হোক! নিরাময় হোক! অমৃতময় হোক বিশ্ব!


জয় মা 🙏 জয় ঠাকুর🙏 জয় স্বামীজী🙏
🏵️🌿🙏জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🙏🌿🏵️

When Swamiji was in America

 🍁স্বামীজীর আমেরিকায় থাকাকালীন দুটি ঘটনাঃ―🍁


       আমেরিকার  পশ্চিম প্রান্তের একটা নগরীতে স্বামীজী একবার বক্তৃতায় বলেছিলেন: যিনি সর্বোত্তম সত্যে পৌঁছেছেন, বাইরের কোনো কিছুই তাকে বিচলিত করতে পারেনা। কথাগুলি শুনল কয়েকটি "কাউবয়"। তারা ঠিক করলো স্বামীজীর উপরেই স্বামীজীর এই কথার পরীক্ষা চালাতে হবে। স্বামীজী তাদের গ্রামে বক্তৃতা করতে গেলে তারা একটি টব উল্টে তার উপরে দাঁড়িয়ে তাকে বক্তৃতা করতে বললেন। স্বামীজী একটুও দ্বিধা না করে তা-ই করলেন এবং মুহূর্তের মধ্যে বক্তৃতার মধ্যে ডুবে গেলেন। এমন সময় তার কানের দুপাশ দিয়ে শোঁ শোঁ শব্দে গুলি ছুটতে লাগল। স্বামীজী কিন্তু একটুও বিচলিত না হয়ে বক্তৃতা চালিয়ে গেলেন। বক্তৃতা শেষ হলে সেই ছেলেগুলো তাঁকে ঘিরে দাঁড়াল, করমর্দন করে বলল : হ্যাঁ , তুমি সত্যিই খাঁটি লোক।।


                         ★★★★★


      স্বামীজী তখন আমেরিকার সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। কোনো এক রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে নামমাত্র স্বামীজীকে বিপুলভাবে সংবর্ধনা করা হচ্ছে। এমন সময় একটি নিগ্রো কুলি এসে তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে বলল: সে শুনেছে তিনি তারই স্বজাতীয়, তাঁর গৌরবে নিগ্রোসমাজ গৌরবান্বিত , অতএব সে তার করমর্দনের সৌভাগ্য লাভ করতে চায়। স্বামীজী সঙ্গে সঙ্গে সেই কুলির দিকে হাত বাড়িয়ে বললেন : " ধন্যবাদ, ভাই তোমাকে ধন্যবাদ।" কুলিটিকে তিনি বললেন না যে তিনি নিগ্রো নন। আমেরিকার অনেক হোটেলে তাকে নিগ্রো মনে করে ঢুকতে দেওয়া হত না এবং তাঁর প্রতি দুর্ব্যবহার করা হত। কিন্তু কখনও তিনি বলতেন না যে, তিনি নিগ্রো নন। একবার এক পাশ্চাত্য শিষ্য তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল , কেন তিনি এইসব ক্ষেত্রে আত্মপরিচয় দেন না। স্বামীজী উত্তর দিয়েছিলেন : " কি!, অপরকে ছোট করে আমি বড় হবে? আমি তো পৃথিবীতে সেজন্য আসিনি।"


*সংগৃহিত*


🌿🌿🙏🌺🏵️💥জয় ঠাকুর মা স্বামীজী💥🌺🏵️🙏🌿🌿

বেলুরমঠে বলি নিষিদ্ধ হওয়ার ইতিহাস

 🍁🌿বেলুড় মঠে বলি নিষিদ্ধ হওয়ার ইতিহাস🌿🍁:-


🍀🌺☘️🌺 

          ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে স্বামীজী মঠে দুর্গাপূজা করতে চাইলেন। শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীকে জানালেন, " মাকে রুধির দিয়ে পূজা করব।"

 - এ বিষয়ে শ্রীমায়ের কাছে অনুমতি চাইলে শ্রীমা বললেন, " হ্যাঁ বাবা, মঠে দুর্গাপূজা করে শক্তির আরাধনা করবে বৈকি। শক্তির আরাধনা না করলে জগতে কোন কাজ কি সিদ্ধ হয়? তবে বাবা, বলি দিও না, প্রাণী হত্যা করা না। তোমরা হলে সন্যাসী , সর্বভূতে অভায়দানই তোমাদের ব্রত।" 

শ্রীরামকৃষ্ণ নিষেধ করলে নরেন্দ্রনাথ হয়তো শাস্ত্রীয় তর্ক করতেন, কিন্তু সঙ্ঘজননীর আদেশ তিনি মাথা পেতে নিলেন। রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের সব কেন্দ্রে বলি নিষেধ হয়ে গেল সেই থেকে।★

শুধু তাই নয়, স্বামীজী সবাইকে জানালেন,

" মার নামে সংকল্প হবে। আমরা তো কপনিধারী― আমাদের নামে হবে না।" সেই থেকে রামকৃষ্ণ মঠের সব কেন্দ্রে দুর্গাপূজার সংকল্প শ্রীশ্রীমায়ের নামে হয়ে আসছে।


★[ক্রিস্টিনকে লেখা স্বামীজীর একটি চিঠির সূত্রে(তারিখ: ১২ নভেম্বর ১৯০১) জানা গেছে: বেলুড় মঠে শেষ বলি হয় ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের কালীপূজার রাতে।]★



****সংগৃহিত****

🌼জয় মা🌼 

🌼জয় ঠাকুর 🌼

🌼জয় স্বামীজী🌼

🌿🌺🍀🌻🌹🙏জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🙏🍀🌹🌻🌺🌿

Ma Sarada and Sister Nivedita

-:🍁শ্রীশ্রীমা ও নিবেদিতার কিছু কথা🍁:-


🌼🌿🌻🌿🌼🌻🌿🌼

       নিবেদিতাকে মা অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তাঁর ভারত সম্পর্কীয় প্রতিটি কাজের সম্যক গুরুত্ব মা বুঝতেন। মুসলমান ছাত্ররা একবার নিবেদিতাকে 'এশিয়ায় ইসলাম' বিষয়ে বলবার জন্য আমন্ত্রণ করেছিল। মাকে সেকথা জানালে মা এত খুশি হয়েছিলেন যে, নিবেদিতা অবাক হয়ে গেছিলেন। 

মায়ের লাল-পেড়ে শাড়ি পড়া যে বসা-মূর্তির ছবি আজ ঘরে ঘরে দেখা যায় , তা নিবেদিতা এবং ওলি বুলের উদ্যোগে তোলা। 

নিবেদিতা সম্বন্ধে মা বলেছেন: " যেন সাক্ষাৎ দেবী। নরেনকে কি ভক্তিই করে। নরেন এদেশে জন্মেছে বলে সর্বস্ব ছেড়ে এসে প্রাণ দিয়ে তার কাজ করছে। কি গুরুভক্তি! এদেশের উপরই বা কি ভালোবাসা!" 

আর তাঁর প্রতি নিবেদিতার ভক্তি-প্রসঙ্গে বলেছেন: "আমার জন্য সে কি করবে ভেবে পেত না। রাত্রিতে যখন আমায় দেখতে আসত, আমার চোখে আলো লেগে কষ্ট হবে বলে একখানি কাগজ ঘিরে ঘরের আলোটি আড়াল করে দিত।  প্রনামকরে নিজের রুমাল দিয়ে কত সন্তর্পনে আমার পায়ের ধুলো নিত। দেখতুম যেন পায়ে হাত দিতেও সংকুচিত হচ্ছে।" 

নিবেদিতার মৃত্যু  সংবাদে শ্রীমা গভীর দুঃখ পেয়েছিলেন। নিবেদিতার কথা বলতে গেলেই তাঁর চোখে জল আসত। জনৈক ভক্ত-মহিলাকে বলেছিলেন, " যে হয় সুপ্রাণী, তার জন্য কাঁদে মহাপ্রাণী(অন্তরাত্মা), যান মা?"
     

     নিবেদিতা তাঁকে একটা চাদর দিয়েছিলেন। জীৱন হয়ে গেলেও মা সেটাকে যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন। বলতেন: "কাপড়খানিকে দেখলে নিবেদিতাকে মনে পড়ে। কি মেয়েই ছিল বাবা!" 

নিবেদিতা সম্বন্ধে মা বলেছিলেন: "নিবেদিতা এখানকার , কেবল তাঁর (অর্থাৎ শ্রীরামকৃষ্ণের ) ভাব ও বার্তা ওদেশে প্রচারের জন্য ওদেশে জন্মগ্রহণ করেছিল।"
🏵️☘️🏵️☘️🏵️☘️🏵️


🌿ভগিনী নিবেদিতার জন্ম:- ১৮ই অক্টোবর ১৮৬৭, টাইরন, আয়ারল্যান্ড (now North Ireland).
🌿মৃত্যু:- ১৩ই অক্টোবর ১৯১১,
বয়স:৪৩ বছর, রায় ভিলা, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং।
🍀🏵️🍀🏵️🍀


*****..".সংগৃহিত."..*****


🌼জয় মা সারদা🌸
🌼জয় ভগিনী নিবেদিতা🌸
🌼জয় ঠাকুর🌸
🌼জয় মা🌸
🌼জয় স্বামীজী🌸

Swami Vivekananda's childhood memories

স্বামীজীর শৈশব কালের কিছু কথা ও ঘটনা:


🏵️☘️🏵️☘️🏵️☘️

নরেন্দ্র খুব সুন্দর গল্প বলতে পারতেন। তাঁর কথা এবং ব্যক্তিত্বের এমন আকর্ষণ ছিল যে, তিনি গল্প আরম্ভ করলে সবাই সব কাজ ভুলে তাঁর কথাই শুনত। স্কুলে ক্লাসের ফাঁকে একদিন তিনি গল্প করছেন। গল্প এত জমে গেছে যে, শিক্ষক এসে পড়াতে শুরু করলেও সকলে পড়ার দিকে মন না দিয়ে তাঁর কথাই শুনছে। কিছুক্ষন পর শিক্ষক ফিসফিস শব্দ শুনে ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন। বিরক্ত হয়ে তিনি এক এক করে সবাইকে পরীক্ষা করলেন তিনি যা পড়াচ্ছিলেন তারা তা শুনেছে কিনা। কেউ উত্তর দিতে পারল না। কিন্তু নরেন্দ্র মন ছিল দুমুখো, গল্পের ফাঁকেও তিনি মনের একটা অংশ পড়ার দিকে রেখে দিতেন। তাই শিক্ষক যখন নরেন্দ্রনাথকে পড়া জিজ্ঞাসা করলেন, নরেন্দ্র নির্ভুল উত্তর দিলেন। শিক্ষক তখন জিজ্ঞাসা করলেন : এতক্ষন কে কথা বলছিল? সকলে নরেন্দ্রকে দেখিয়ে দিল। শিক্ষকের তা বিশ্বাস হলো না। তিনি নরেন্দ্র ছাড়া আর সবাইকে দাঁড়িয়ে থাকতে বললেন। সকলের সঙ্গে নরেন্দ্রও উঠে দাঁড়ালেন। শিক্ষক বললেন : " তোমাকে দাঁড়াতে হবে না।" নরেন্দ্র বললেন : "না, আমাকেও দাঁড়াতে হবে, কারণ আমিই তো কথা বলছিলাম।" তিনি দাঁড়িয়েই রইলেন।

                                   🏵️☘️🏵️☘️🏵️☘️

                          **********

🍁🌿🍁🌿🍁🌿

নরেন্দ্রনাথের বাবা  বিশ্বনাথ দত্ত মুক্তহস্তে দান করতেন। তার মধ্যম পুত্র মহেন্দ্রনাথ দত্ত লিখেছেন: "গরিব-দুঃখীকে দান করা তাঁহার যেন একটা ব্যামোর মতো ছিল।" পাড়ায় তাঁর নাম হয়েছিল দাতা বিশ্বনাথ। কারও অর্থকষ্ট দেখলে তিনি নিজেকে সামলাতে পারতেন না। দূরসম্পর্কের অনেক ছাত্র তাঁর বাড়িতে থেকে তাঁরই খরচে পড়াশুনা করত। পাড়া-প্রতিবেশি কেউ অভাবে পড়লে তিনি জানতে পারলেই তাকে সাহায্য করতেন। এ ব্যাপারে তিনি ছিলেন সম্পূর্ন বেহিসাবী। তাঁর এই নির্বিচারে দানের সুযোগে অনেক নেশাখোর এসে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেশা করে বেড়াত। একদিন নরেন্দ্রনাথ বিশ্বনাথবাবুর দানের এইরকম অপব্যবহারের কথা তাঁর কানে তুললে বিশ্বনাথবাবু তাঁকে বলেছিলেন : "জীবনটা যে কত দুঃখের তা তুই এখন কি বুঝবি? যখন বুঝতে পারবি, তখন এ দুঃখের হাত থেকে ক্ষণিক নিস্তার পাওয়ার জন্য যারা নেশাভাঙ করে তাদের পর্যন্ত দয়ার চোখে দেখবি।" বাবার এই উপদেশের পূর্ণতার রূপ নরেন্দ্রনাথ দেখেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণের জীবন ও বানীর মাধমে। "দয়ার দৃষ্টি" "শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে" পরিণত হয়েছিল। কারণ, শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে শিখিয়েছিলেন : দয়াও ছোট কথা। মানুষ ঈশ্বরের জীবন্ত রূপ। ঈশ্বরকে কি আমরা দয়া করবার কথা ভাবি? ঈশ্বরের সেবা করে, পূজা করে আমরা ধন্য হই। তাই দয়া নয়, শিবজ্ঞানে জীবসেবা। মানুষকে ভগবান ভেবে সেবা। কোনো মানুষই ঘৃণ্য নয়। যে পাপী সেও আসলে ভগবান। " চোররূপী নারায়ন, লুচ্চারূপী নারায়ন।" পরবর্তীকালে স্বামী বিবেকানন্দ তাই জগতের প্রতিটি মানুষকে শ্রদ্ধার চোখে দেখেছেন― যে অধঃপতিত তাকেও। বলতেন: "God the wicked" , "God the sinner" ― দুর্জন, পাপী সকলেই ভগবান। আর বলতেন : " যদি একজনের মনে ―এ সংসার-নরকুণ্ডের মধ্যে একদিনও একটু আনন্দ ও শান্তি দেওয়া যায়, সেইটুকুই সত্য, এই তো আজন্ম ভুগে দেখছি।"

                                    🌿🍁🌿🍁🌿🍁


*সংগৃহিত*

Book name:- সবার স্বামীজী

স্বামী লোকেশ্বরানন্দ 


🌺জয় ঠাকুর 🌺 জয় মা 🌺 জয় স্বামীজী🌺

🌿🌻জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🌻🌿

মা সারদার জন্ম কাহিনী

 -:🌼🌻শ্রীশ্রীমায়ের ধরায় আগমন🌻🌼:-


🌿🍁🌿🍁 সমাজে তখন নগরায়নের দিকে ঝোঁক। গ্রাম থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য মানুষ নগরমুখী। রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ও আর্থিক সচ্ছলতার জন্য কলকাতায় উপস্থিত হলেন। স্বামী কাজের খোঁজে শহরে গিয়েছেন, শ্যামাসুন্দরী তাই বাপের বাড়ি শিহড়ে। জয়রামবাটীর কাছেই এই শিহড়। যেখানে শ্যামসুন্দরী দেবীর এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল। একদিন অসুস্থ অবস্থায় অন্যান্য গ্রাম্যবধূর মতোই পুকুরের পাড়ে শৌচে গেছেন শ্যামসুন্দরী দেবী। প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থা। এমন সময় কুমোরদের পোয়ানের (মাটি শুকোবার স্থান) কাছে ঝনঝন শব্দে সচকিত হয়ে উঠলেন তিনি। তাকিয়ে দেখলেন, সামনের বেলগাছ থেকে একটি শিশুকন্যা নেমে এল এবং তার নরম কোমল  দুটি হাত দিয়ে শ্যামসুন্দরীর গলা জড়িয়ে ধরে বলল, " আমি তোমার ঘরে এলাম, মা।" শ্যামসুন্দরী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন। জ্ঞান ফিরলে অনুভব করলেন ওই কচি মেয়েটি যেন তাঁর গর্ভে প্রবেশ করেছে।


🌺🌻🌺🌻এরপর ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সারদাদেবীর জন্ম। 

বাংলা তারিখ: ৮ই পৌষ, ১২৬০ বঙ্গাব্দ, কৃষ্ণাসপ্তমী তিথি।

সময়: রাত্রি, ২ দন্ড ৯ পল। 🌺🌻🌺🌻


🌺🙏শুভ জন্মতিথি মা🙏🌺


🌼🌼🌼🌼প্রনাম নিও, সকলের মঙ্গল করো, ভালো করো রক্ষা করো,🏵️🏵️🏵️🏵️ 

🙏🏵️জয় মা জগৎ জননী  মা সারদা দেবীর জয়🏵️🙏

🌷জয় ঠাকুর 🌷 জয় স্বামীজী 🌷


স্বামী বিবেকানন্দের স্বদেশ মন্ত্র, স্বদেশ বাণী

🙏স্বামীজীর হৃদয়স্পর্শী গগনভেদী বজ্রদীপ্ত মঙ্গলময় স্বদেশ মন্ত্র, স্বদেশ বাণী🙏:-


🌻🍁🌿"হে ভারত ভুলিও না"🌿🍁🌻


“হে ভারত, এই পরানুবাদ, পরানুকরণ, পরামুখাপেক্ষা, এই দসসুলভ দুর্বলতা, এই ঘৃণিত জঘন্য নিষ্ঠুরতা-এইমাত্র সম্বলে তুমি উচ্চাধিকার লাভ করিবে? এই লজ্জাকর কাপুরুষতাসহায়ে তুমি বীরভোগ্যা স্বাধীনতা লাভ করিবে? হে ভারত, ভুলিও না—তোমার নারীজাতির আদর্শ সীতা, সাবিত্রী, দময়ন্তী; ভুলিও না—তোমার উপাস্য উমানাথ সর্বত্যাগী শঙ্কর; ভুলিও না-তোমার বিবাহ, তোমার ধন, তোমার জীবন ইন্দ্রিয়সুখের-নিজের ব্যক্তিগত সুখের জন্য নহে; ভুলিও না—তুমি জন্ম হইতেই ‘মায়ের’ জন্য বলিপ্রদত্ত; ভুলিও না―তোমার সমাজ বিরাট মহামায়ার ছায়ামাত্র; ভুলিও না—নীচজাতি, মূর্খ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মূচি, মেথর তোমার রক্ত, তোমার ভাই! হে বীর, সাহস অবলম্বন কর; সদর্পে বল—আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই। বল—মূর্খ ভারতবাসী, দরিদ্র ভারতবাসী, ব্রাহ্মণ ভারতবাসী, চণ্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই; তুমিও কটিমাত্র-বস্ত্রাবৃত হইয়া, সদর্পে ডাকিয়া বল―ভারতবাসী আমার ভাই, ভারতবাসী আমার প্রাণ, ভারতের দেবদেবী আমার ঈশ্বর, ভারতের সমাজ আমার শিশুশয্যা, আমার যৌবনের উপবন, আমার বার্ধক্যের বারাণসী; বল ভাই—ভারতের মৃত্তিকা আমার স্বর্গ, ভারতের কল্যাণ আমার কল্যাণ; আর বল দিন-রাত, ‘হে গৌরীনাথ, হে জগদম্বে, আমায় মনুষ্যত্ব দাও; মা, আমার দুর্বলতা কাপুরুষতা দূর কর, আমায় মানুষ কর।”.    

                                     ―স্বামী বিবেকানন্দ

                      🌿🍁🌼🍁🌼🌿

_________*****__________******________

🌼জয়তু স্বামীজী মহারাজ🌼
🏵️জয় শ্রীমা সারদা🏵️
🌺জয় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ🌺

*****--------******------*****--------******-----

স্বামীজীর জীবনের বিশেষ ঘটনাপঞ্জী

🌻-:স্বামীজীর জীবনের বিশেষ ঘটনাপঞ্জী:-🌻


১৮৬৩:-                             ১২ জানুয়ারি জন্ম, 

                              কলিকাতার সিমলা পল্লীতে


১৮৭০:-                          বিদ্যাসাগর বিদ্যালয়ে


১৮৭৭:-                                         রায়পুরে 

                                           (স্বাস্থ্য-পরিবর্তন)


১৮৭৯:-                            প্রবেশিকা পরীক্ষায়  

                                                    উত্তীর্ণ


১৮৮০:-                       কলেজে ও ব্রাহ্মসমাজে


১৮৮১:-                 শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে

                                                প্রথম দর্শন


১৮৮৪:-                                   পিতৃ বিয়োগ


১৮৮৬:-                      কাশিপুরে শ্রীরামকৃষ্ণের 

                              লীলা সংবরন, বরাহনগরে  

                                                  মঠ শুরু 


১৮৮৭:-                        গুরুভ্রাতাগণের সহিত  

                                    সন্যাসগ্রহণ, তপস্যা ও 

                                                   অধ্যয়ন


১৮৯০:-                             পরিব্রজ্যা―উত্তর     

                                       ভারতে ও হিমালয়ে


১৮৯১:-                                  একাকী যাত্রা


১৮৯২:-                    পশ্চিম ভারতে,দক্ষিণাত্যে

                                        ও কন্যাকুমারিকায় 


১৮৯৩:-                                   জাপান হইয়া    

                                          আমেরিকা যাত্রা, 

                                  চিকাগো-ধর্ম মহাসভায়


১৮৯৪:-                                  আমেরিকায়      

                                          নানাস্থানে বক্তৃতা


১৮৯৫:-                             নিউ ইয়ার্কে ক্লাস;

                                             ইংল্যান্ড যাত্রা


১৮৯৬:-                নিউ ইয়ার্কে বেদান্ত-সমিতি 

                                গঠন;পুনরায় ইংল্যান্ডে; 

                                             ইউরোপ ভ্রমণ


১৮৯৭:-                     ভারতে প্রত্যাবর্তন এবং

                                  ১লা মে মিশন প্রতিষ্ঠা;

                        উত্তর ভারতে ও রাজপুতানায়


১৮৯৮:-                ভগিনী নিবেদিতার আগমন,

                                     কাশ্মীরে ও হিমালয়ে,

                                         বেলুড় মঠ স্থাপন


১৮৯৯:-                 ইংল্যান্ড যাত্রা; আমেরিকায় 

                          ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলে বক্তৃতা


১৯০০:-               প্যারিস ধর্মেতিহাস-সম্মেলনে

 

১৯০১:-                মায়াবতী, পূর্ববঙ্গ ও আসামে


১৯০২:-                      ৪ঠা জুলাই মহাসমাধি―

                                              বেলুড় মঠে।।



🌻স্বামীজীর চিরঅক্ষয় বাণী:-

   আমি কোনোদিন কর্ম হইতে ক্ষান্ত হইব না।     

     যতদিন না জগৎ ঈশ্বরের সহিত একত্ব  

     অনুভব করিতেছে, ততদিন আমি সর্বত্র 

     মানুষের মনে প্রেরণা যোগাইতে থাকিব। 

                                  ― স্বামী বিবেকানন্দ

🙏🌿🍁🌺🌺🌻🌻🌺🌺🌻🌻🍁🌿🙏

মানসপুত্র নেতাজী

 🌿 মানসপুত্র নেতাজী 🍁 🌻১৯০২ সালের জানুয়ারীতে সুভাষচন্দ্রের পিতা তাঁকে কটকের মিশনারী স্কুলে ভর্তি করে দিলেন, পুত্রের প্রাথমিক বিদ্যা লাভে...