Tuesday 8 September 2020

স্বামীজীর ছাত্র জীবনের একটি মজার ঘটনা:―




বি.এ. পরীক্ষার জন্য টাকা জমা দেওয়ার সময় হয়েছে। নরেন্দ্রর সহপাঠীরা সকলেই টাকা জমা দিয়েছে― কেবল হরিদাস ছাড়া । সে বড় গরিব, টাকা জোগাড় করতে পারেনি। শুধু পরীক্ষার ফি-ই নয় , এক বছরের বেতনও বাকি। হরিদাসের পক্ষে ফি-র টাকাটা কোনো মতে দেওয়া  সম্ভব , কিন্তু এক বছরের বেতন দেওয়া অসম্ভব। সব শুনে নরেন্দ্র সব শুনে এগিয়ে এলেন। তিনি জানতেন এরকম বিশেষ ক্ষেত্রে টাকা মুকুব করার ব্যবস্থা আছে আর তা আছে কলেজের বৃদ্ধা কেরানি রাজকুমারবাবুর হাতে। ছেলেরা যখন টাকা জমা দিচ্ছে , নরেন্দ্র তখন রাজকুমারবাবুর কাছে গিয়ে বললেন : " মশায় , হরিদাস দেখছি মাইনেটা দিতে পারবেনা; আপনি একটু অনুগ্রহ করে তাকে মাফ করে দিন। তাকে পাঠালে সে ভালোরকম পাস করবে; আর না পাঠালে সব মাটি।" রাজকুমার বাবুর মেজাজ ভালো ছিল না―মুখবিকৃতি করে বললেন: " তোকে জ্যাঠামি করে সুপারিশ করতে হবে না; তুই যা , নিজের চরকায় তেল দেগে যা। আমি ওকে মাইনে না দিলে পাঠাবো না।" নরেন্দ্র চিন্তায় পড়লেন। তার নিজের পক্ষেও অতো টাকা জোগাড় করা কঠিন―অথচ তাড়াতাড়ি টাকা জোগাড় না করলে বন্ধু পরীক্ষায় বসতে পারবে না। কি করা যায়? মাথায় তার একটা বুদ্ধি খেলে গেল।

         বাড়ি না ফিরে সেদিন সন্ধ্যায় তিনি হেদোর কাছে এক গুলির আড্ডার কাছে অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন, আর গুলির দোকানের দিকে যারা আসছে তাদের ভালো করে লক্ষ করতে লাগলেন। হঠাৎ নরেন্দ্রনাথ অন্ধকার থেকে বেরিয়ে একজনের সামনে দাঁড়ালেন। রাজকুমারবাবু! নরেন্দ্রনাথ জানতেন রাজকুমারবাবু প্রতিদিন ওই গুলির আড্ডায় নেশা করতে আসেন। নরেন্দ্রনাথকে দেখে রাজকুমারবাবুর মুখ শুকিয়ে গেছে । সুযোগ বুঝে নরেন্দ্রনাথ বললেন যে, হরিদাসের মাইনেটা যদি তিনি মুকুব না করেন , তাহলে তিনি তার নেশার কথা কলেজময় ছড়িয়ে দেবেন। রাজকুমারবাবু তখন বিপদ বুঝে বললেন: " বাবা , রাগ করিস কেন? তুই যা বলছিস তাই হবে। তুই যখন বলছিস , আমি কি তা না করতে পারি?" কার্যসিদ্ধি হয়েছে দেখে নরেন্দ্রনাথ ফিরে চললেন। তিনি চোখের আড়াল হতেই রাজকুমারবাবুর এদিক-ওদিক দেখে গুলির আড্ডায় ঢুকে পড়লেন।

       পরদিন সকাল হতে না হতেই নরেন্দ্রনাথ হরিদাসের বাড়িতে গিয়ে বন্ধুকে বললেন : " ওরে খুব ফূর্তি কর, তোর মাইনের টাকাটা আর দিতে হবে না।" তারপর গত সন্ধ্যার ঘটনাটা আনুপূর্বিক বর্ণনা করে দুজনেই হাসিতে ফেটে পড়লেন।


Book Name:- " সবার স্বামীজী "

থেকে সংগৃহিত।

By স্বামী লোকেশ্বরানন্দ।


জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🙏

🏵️🌺🏵️🌺🌿🌿🌾🌾🌻🌼🌻🌼🌼🏵️🌾🏵️🌿🏵️🌾🏵️🌿🏵️🌾🏵️🌿🏵️

Thursday 3 September 2020

🙏ঠাকুর মা স্বামীজীর প্রণাম মন্ত্র🙏

 🙏ঠাকুরের প্রনাম মন্ত্র:-🙏


ওঁম স্থাপকায়চ ধর্মস্য সর্ব ধর্ম স্বরূপিনে

আবতার বরিষ্ঠায় শ্রীরামকৃষ্ণায় তে নমঃ


🙏ময়ের প্রণাম মন্ত্র:-🙏


জননীং সারদাং দেবীং রামকৃষ্ণং জগদ্‌গুরুম পাদপাদ্মে তয়ো শ্রিত্বা প্রনমামি মূহুর্মূহুঃ


🙏স্বামী বিবেকানন্দ প্রণাম মন্ত্র:-🙏


ওঁম নমঃ শ্রীযতিরাজায় বিবেকানন্দ সূরয়ে

সচ্চিদসুখস্বরূপায় স্বামীনে তাপহারিণে।।


🙏🌺জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🌺🙏

                     

                         *****


🙏Thakurer Pranam Mantra:-🙏


Om Sthapakayacha Dharmasya Sarba dharma Swarupinee Avatar barishthaiya Shri Ramkrishnaya Te Namah 


🙏Maa Sarada Pranam Mantra:-🙏


Jananing Saradang Deving Ramakrishna Jagatgurum PadaPadme Twayo Sritva Pranamami Muhurmuhu.


🙏Swami Vivekananda Pranam Mantra:-🙏


Om Namah Shri Jatirajaya Vivekananda Suraye Sachchidsukha Swarupaya Swamine Tapaharine.


🙏🌺Joy ThakurMaaSwamiji🌺🙏


Tuesday 1 September 2020

স্বামীজীর দার্জিলিং এ থাকাকালীন একটি ঘটনা

  🌿🌻🏵️সর্বভূতে সেই প্রেমময়🏵️🌻🌿


🌿🌻🏵️🙏স্বামীজী বিবেকানন্দ🙏🏵️🌻🌿




বিদেশ থেকে ফেরবার পর স্বামীজীর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল। স্বাস্থ্য‌-উদ্ধারের জন্য স্বামীজী গেছিলেন দার্জিলীঙে। একদিন স্বামীজী সকালবেলা কয়েকজনের সঙ্গে বেড়াতে বেড়িয়েছেন। কাছেই একটা ভুটিয়া স্ত্রীলোক পিঠে খুব ভারী একটা বোঝা নিয়ে অতি কষ্টে পথ চলছে। স্বামীজী একদৃষ্টে তাকে দেখছেন। স্ত্রীলোকটার পথ চলার কষ্ট তিনি যেনো মর্মে মর্মে অনুভব করছেন। হঠাৎ স্ত্রীলোকটি হোঁচট খেয়ে বোঝাসুদ্ধ পড়ে গেল। পাঁজরে তার প্রচন্ড আঘাত লাগল। স্বামীজীও সঙ্গে সঙ্গে পাঁজরে নিদারুণ আঘাত বোধ করলেন ― থমকে দাঁড়ালেন তিনি। একটু পরে বলে উঠলেন :: ""বড্ড ব্যাথা লেগেছে, আর যেতে পারছি না।"" সঙ্গীরা জিজ্ঞাসা করল :: "স্বামীজী, কোথায় ব্যাথা লেগেছে?" তিনি তার পাঁজরের কাছটা দেখিয়ে বললেন :: "" এইখানে ― দেখিসনি ঐ স্ত্রীলোকটির লেগেছে!"" অনুভূতি যাঁদের অসাধারণ তীব্র, তাঁদের ক্ষেত্রে এরকম অনেক সময় ঘটে। শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনেও এরকম ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। মাঝগঙ্গায় এক মাঝি ঝগড়া করতে করতে আর এক মাঝির পিঠে প্রচণ্ড এক চড় মেরে বসলে তীরে থাকা শ্রীরামকৃষ্ণ সেই চড়ের আঘাত নিজের পিঠে অনুভব করে আর্তনাদ করে উঠেছিলেন।


Book Name:- "সবার স্বামীজী"

থেকে সংগৃহীত।

স্বামী লোকশ্বরানন্দ।


🙏🏵️🌻🌺জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🌺🏵️🌻🙏

স্বামীজীর মনঃসংযম অবলম্বনে একটি মজার ঘটনা

স্বামীজীর মনঃসংযম অবলম্বনে একটি মজার সত্য ঘটনা:-




স্বামীজী দ্বিতীয় এবং শেষ বারের যতো পাশ্চাত্যে এসেছেন। আমেরিকায় একদিন তিনি একটা নদীর ধারে বেড়াচ্ছেন। হঠাৎ চোখে পড়ল :: কয়েকটি যুবক সাঁকোর উপর দাঁড়িয়ে জলে ভেসে থাকা কয়েয়কটি ডিমের খোলার দিকে গুলি ছুঁড়ছে। বারবার চেষ্টা করছে ― কিন্তু একবারও পারছে না। দাঁড়িয়ে দেখতে দেখতে স্বামীজীর মুখে মৃদু হাসি ফুটে উঠল। যুবকদের একজনের তা চোখে পড়ল। স্বামীজীকে challenge করে সে বলল :: কাজটা যতটা সহজ দেখাচ্ছে ততটা সহজ নয়। দেখি তো আপনি কেমন পারেন! স্বামীজী দ্বিরুক্তি না করে তাদের কাছ থেকে একটা বন্দুক নিলেন, তারপর পরপর বারোটি খোলা গুলিবিদ্ধ করলেন। যুবকরা অবক হয়ে গেল। তারা ভাবল, ইনি নিশ্চয় বহুদিন ধরে বন্দুক ছুঁড়েছেন। স্বামীজী তাদের বললেন :: তিনি এর আগে কখনোই বন্দুকে হাত দেননি। তিনি যে লক্ষ্যভেদ করতে পারলেন তার রহস্য হচ্ছে মনঃসংযম।


Book Name:- "সবার স্বামীজী"

থেকে সংগৃহীত।

স্বামী লোকেশ্বরানন্দ।


🌻🌺🕉️🙏জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🕉️🙏🌺🌻

🌼🌻স্বামী বিবেকানন্দের বিবেক বানী🌻🌼

 🙏🙏🌼🌻জয়তু স্বামীজী🌻🌼🙏 🙏


    🌹🌿স্বামীজীর বিবেক বাণী🌿🌹


""যে–বিদ্যার উন্মেষে ইতর–সাধারণকে 

জীবন সংগ্রামে সমর্থ করতে পারা যায় না,

যাতে মানুষেল চরিত্রবল, পরার্থপরতা,

সিংহসাহসিকতা এনে দেয় না, সে কি আবার শিক্ষা?""


                      **************


""টাকায় কিছুই হয় না, নামেও হয় না, যশেও হয় না,

বিদ্যায়‌ও কিছু হয় না, ভালবাসায় সব হয় –

চরিত্র‌ই বাধাবিঘ্নরূপ বজ্রদৃঢ় প্রাচীরের মধ্য দিয়া পথ করিয়া ল‌ইতে পারে।""


                     **************


''''জগতের যা কিছু উন্নতি, সব মানুষের শক্তিতে হ‌ইয়াছে, বিশ্বাসের শক্তিতে হ‌ইয়াছে।

নিজের উপর বিশ্বাসসম্পন্ন হ‌ও– সেই বিশ্বাসবলে নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াও।''''


                                      ― স্বামী বিবেকানন্দ




🙏🙏🌼🌻জয়তু স্বামীজী🌻🌼🙏🙏


    🌹🌿স্বামীজীর বিবেক বাণী🌿🌹


''''জগতের ইতিহাস হ‌ইল – পবিত্র গম্ভীর, চরিত্রবান এবং শ্রদ্ধাসম্পন্ন কয়েকটি মানুষের ইতিহাস। 

আমাদের তিনটি বাস্তব প্রয়োজন – অনুভব করিবার হৃদয়, ধারণা করিবার মস্তিষ্ক এবং কাজ করিবার হাত।''''


                     **************


""এই জীবন ‌ক্ষনভঙ্গুর , জগতের ধন মান ঐশ্বর্য – এ সকল‌ই ক্ষনস্থায়ী। 

তাহারাই যথার্য জীবীত , যাহারা অপরের জন্য জীবনধারণ করে । অবশিষ্ট ব্যক্তিগণ বাঁচিয়া নাই, মরিয়া আছে।""


                     **************


""ব্রহ্ম হ'তে কীট-পরমাণু সর্বভূতে সেই প্রেমময়,

মন প্রাণ শরীর অর্পণ কর সখে,এ সবার পায়।

বহুরূপে সম্মুখে তোমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?

জীবে প্রেম করে যেই জন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।।""


                                      ― স্বামী বিবেকানন্দ


🙏🙏🌻🌼জয়তু স্বামীজী🌼🌻🙏🙏


🙏🙏🌹🌻জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🌹🌻🙏🙏

ভক্তের কাছে ভগবান তো ধরা দেবেন‌ই

🌺ভক্তের কাছে ভগবান তো ধরা দেবেন‌ই🌺

🙏🌾🏵️🌻জয় মা সারদামণি দেবী🌻🏵️🌾🙏


ভগবান বা ভগবতী যখন মানবদেহে অবতীর্ণ হন, তখন তাঁরা তাঁদের দেব-ভাবকে যথাসম্ভব লুকিয়ে রাখেন। কারণ, দেব-ভাব বেশী প্রকাশিত হলে মানুষ হয়তো তাদের সমীহ করবে, কিন্তু আপনার করে নেবে না, আর তাহলে যে জগৎকল্যাণের জন্য তাঁদের আগমন তা ব্যহত হবে। শ্রী শ্রী মাও তাঁর দেবীত্বকে যথাসম্ভব লুকিয়ে রাখতেন। তবুও অজ্ঞাতসারেই কখনো কখনো তাঁর স্বরূপ প্রকাশ পেয়েছে। কখনো বা ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করার জন্য নিজেই দেবীরূপে প্রকাশিত হয়েছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণের ভাইপো শিবুদাদা( শিবরাম চট্টোপাধ্যায়) ছিলেন মায়ের অনুগত। ঠাকুরের দেহত্যাগের পর মা কামারপুকুর থেকে জয়রামবাটী আসছিলেন, সঙ্গে শিবুদাদা। জয়রামবাটীর প্রায় কাছে মঠের মধ্যে এসে শিবুদাদার হঠাৎ কি মনে হ‌ওয়ায় তিনি দাঁড়িয়ে পড়লেন।




মা বললেন, "" ও কিরে শিবু, এগিয়ে আয়।"" শিবুদাদা বললেন, "" একটি কথা বলতে পার, তাহলে আসতে পারি।'"

মা ― "" কি কথা?""

শিবুদাদা ― "" তুমি কে,  বলতে পার?""

মা― "" আমি কে? আমি তোর খুড়ী।"" শিবুদাদা ― ""তবে যাও, এইতো বাড়ির কাছে এসেছ। আমি আর যাব না।""

এদিকে বেলা শেষ হয়ে এসেছে, মা উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন, "" দেখ দেখি, আমি আবার কে রে? আমি মানুষ, তোর খুড়ী।""

শিবুদাদা জেদভরে উত্তর দিলেন, "" বেশ তো, তুমি যাও না।"" শিবুদাদাকে না যেতে দেখে

মা বললেন, ""লোকে বলে কালী।""

শিবুদাদা ― "" কালী তো? ঠিক?""

মা ― ""হাঁ।""

শিবুদাদা ― "" তবে চল।""


Book Name:- "আমি মা সবার মা"

থেকে সংগৃহীত।

স্বামী প্রভানন্দ।


🙏🏵️🌻🌺জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🌺🏵️🌻🙏

🌻সর্বভূতে শ্রীরামকৃষ্ণ🌻

 🌹🌻সর্বভূতে সেই প্রেমময়🏵️🌼

 🌼🏵️ জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ🌻🌹 





সকলের মধ্যে নিজেকে দেখা এবং সকলকে নিজের মধ্যে দেখা – এই হচ্ছে প্রকৃত সমদর্শিতা, প্রকৃত আত্মদর্শন। অর্থাৎ অন্যদের থেকে নিজেকে পৃথক না ভাবা , সকলের সুখেই নিজের সুখ , সকলের দুঃখেই নিজের দুঃখ মনে করা, সকলের সঙ্গে এই একাত্ম হয়ে যাওয়া ― এ যে বাস্তবে সম্ভব তা শ্রীরামকৃষ্ণ‌ই প্রমাণ করে গেছেন। এই প্রসঙ্গে নৌকার মাঝির ঘটনা মনে পড়ছে । গঙ্গা দিয়ে একটা নৌকা যাচ্ছে আর শ্রীরামকৃষ্ণ বসে আছেন দক্ষিনেশ্বরে গঙ্গার ঘাটে । নৌকার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। নৌকায় দু-জন মাঝি, দুই ভাই তারা। হঠাৎ কি কারণে দুই ভাই-এর মধ্যে ঝগড়া বাধলো। প্রথমে বচসা , পরে বড় ভাই ছোটো ভাই -এর পিঠে দারুণ এক চপেটাঘাত করলো। এই চপেটাঘাতের সঙ্গে সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ চিৎকার করে উঠলেন। বললেন :: "" মারলো, মারলো আমাকে মারলো।"" সবাই ছুটে এলো শ্রীরামকৃষ্ণের চিৎকার শুনে ― দেখতে কে এমন নরাধম আছে যে এই দেবতুল্য ব্যক্তির দেহে আঘাত করে । সবাই এসে দেখলো :: শ্রীরামকৃষ্ণের দেহে পাঁচ আঙুলের দাগ। সত্যি সত্যিই কে যেনো তাঁকে মেরেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে দেখিয়ে দিলেন নৌকার দিকে। বড় ভাই মেরেছে ছোটো ভাইকে , কিন্তু সে আঘাত তাঁর‌ই শরীরে লেগেছে। তিনি সেই বেদনা অনুভব করেছেন, সেই আঘাতের চিহ্ন তাঁর শরীরে। একেই বলে একাত্মতা । যেমন মানুষের প্রতি দরদ , তেমন‌ই জীবজন্তু, উদ্ভিদের প্রতিও তাঁর দরদ । এ-ই ভারতের আদর্শ‌। সর্বভূতে এক‌ই আত্মা । তাই একের দুঃখে সকলের দুঃখ, সবাই সবার সুখ দুঃখের অংশীদার।

     এই অনুভূতি সহজসাধ্য নয়, তাই যতদিন না হয় ততদিন সকল মানুষের মধ্যে ঈশ্বর বিরাজ করছেন এই বুদ্ধিতে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে শ্রীরামকৃষ্ণ শিক্ষা দিলেন। অর্থাৎ প্রত্যেক মানূষ‌ই ঈশ্বরের প্রতিনিধি বা প্রতীক। কেউ অবজ্ঞার পাত্র নয়। ঈশ্বর-বুদ্ধিতে সবাইকে শ্রদ্ধা কর, ভালবাস, শিবজ্ঞানে জীবের সেবা কর। স্বামী বিবেকানন্দ পরে এই বাণী প্রচার করলেন ― বললেন এই হচ্ছে " যুগধর্ম"।।


Book Name:- "বিশ্ববরেন্য শ্রীরামকৃষ্ণ"

থেকে সংগৃহীত।

স্বামী লোকেশ্বরানন্দ।


🙏🏵️🌻🌺জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🌺🏵️🌻🙏

🏵️🌺দয়াময়ী মা সারদা🌺 🏵️

 🙏🌺--**মায়ের হাতে খাই পরি মা নিয়েছেন আমার ভার**--🌺🙏


প্রসন্ন মামার (শ্রীমায়ের বড়ো ভাই প্রসন্ন কুমার মুখোপাধ্যায়) মেয়ে নলিনী একজন মুসলমান মজুরকে খেতে দিচ্ছেন, পরিবেশনের সময় উঠোন থেকে ছুঁড়ে ছুঁড়ে খেতে দিচ্ছেন। হঠাৎ তাঁর এই ব্যবহার শ্রীমায়ের নজরে এল, মা দেখেই বললেন, ""ও কিরে! ওভাবে খেতে দেয় নাকি!"" মা নলিনীদির কাছ থেকে থালা নিয়ে নিজের হাতে পরিবেশন করলেন। তারপর যখন এঁটো পরিষ্কার করে গোবরজল ছড়া দিচ্ছেন, এমন সময় নলিনীদি বললেন, "পিসিমা তোমার জাত যাবে যে!" মা বললেন, ""ছেলের এঁটো পরিষ্কার করলে জাত যায় নাকি!""

                    * * * * * * * * * *

                

                  * * * * * * * * * *

উদ্বোধনে একদিন পূর্ববঙ্গের একটি মেয়েকে দীক্ষা দিলেন শ্রীমা। দীক্ষার পর তাকে পাশে বসিয়ে খাওয়া খাওয়ালেন। পরে তার হাতে এক ঘটি জল তুলে দিয়ে মা বললেন, "হাত ধোও।" হাত ধোওয়া হলে তাকে আরেক ঘটি জল দিয়ে মা বললেন, "পা ধোও।" মেয়েটি সেই মাতৃস্নেহের আস্বাদ পেয়ে কেঁদে ফেলল, কিন্তু মায়ের এ আদেশ কি করে পালন করে! শ্রীমা বললেন, ""তুমি আমার কে?"" সে উত্তর দিল, ''আমি তোমার মেয়ে।'' তখন মা বললেন, ""তবে যা বলছি শোন। পা ধোও।""


 Book Name:- "আমি সকলের মা"

থেকে সংগৃহীত।

স্বামী প্রভানন্দ।


[**শ্রীশ্রীমায়ের ভাইদের সন্নাসী মহারাজরা "মামা" বলে সম্বোধন করতেন এবং শ্রীশ্রীমায়ের ভাইঝিদের "দিদি" বা "দি" বলে সম্বোধন করতেন।]


🙏🌺জননীং সারদাং দেবীং রামকৃষ্ণং জগদ্‌গুরুম পাদপাদ্মে তয়ো শ্রিত্বা প্রনমামি মূহুর্মূহুঃ🌺🙏


🙏🏵️🌻🌺জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🌺🏵️🌻🙏

**স্বামীজীর লন্ডনে থাকাকলীন একটি ঘটনা** || An Incident when Swamiji was in London ||



 **স্বামীজীর লন্ডনে থাকাকলীন একটি ঘটনা**


চিকাগো ধর্ম মহাসভা সম্মেলনে স্বামীজীর কিছু দুষ্প্রাপ্য ছবি:-







         স্বামীজী একবার লন্ডনে "রাজযোগ" সম্বন্ধে বলছেন। হঠাৎ বক্তৃতার মধ্যে এক অ্যাংলো স্বমীজীর বক্তৃতার বিরুদ্ধে টিপ্পনী কাটতে লাগলেন। শ্রোতারা বিরক্ত হলেও স্বামীজী প্রথমে ঐ ভদ্রলোককে অগ্রাহ্য করে বক্তৃতা চালিয়ে যেতে লাগলেন। ঐ অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান ক্রমশ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেন। স্বামীজী বুদ্ধের প্রশংসা করলে তিনি বুদ্ধের নিন্দা করলেন, স্বামীজী সাধুদের প্রশংসা করলে তিনি সাধুদের চোর-ছ্যাঁচড় বলে গালাগালি করলেন ; শেষে তিনি স্বামীজীকে বাঙালি বুঝতে পেরে বাঙালিদের নিন্দা ও ইংরেজদের প্রশস্তি করতে লাগলেন। বারবার বাধা পেয়ে স্বামীজী এবার ওই অভদ্র লোকটির দিকে ঘুরে তাকালেন । ইতিহাস থেকে একের পর এক নজির দেখিয়ে এমনভাবে তিনি ইংরেজদের কুকীর্তির কথা চোখে আঙু্ল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন যে ওই অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানটি তখন নিজেকে সামলাতে না পেরে কেঁদে ফেললেন। স্বামীজী ক

অমনি মুখ ফিরিয়ে বক্তৃতার প্রসঙ্গে ফিরে এলেন এবং যেনো কিছুই হয়নি এইভাবে বক্তৃতা শেষ করলেন।

          স্বামীজী আমেরিকায় একটি বক্তৃতায় পাশ্চাত্যের প্রবল ভারতনিন্দার সমালোচনা করে বলেছিলেন ঃ " যদি গোটা ভারত উঠে দাঁড়ায় এবং ভারত মাহাসাগরের নীচে যত কাদা আছে সব তুলে নিয়ে পাশ্চাত্য দেশগুলোর দিকে ছুঁড়ে মারে ― তাহলেও আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে যা করেছেন তার যৎসামান্য‌ প্রতিশোধ‌ও হবেনা।"

Book Name:- "সবার স্বামীজী"

থেকে সংগৃহীত।

স্বামী লোকেশ্বরানন্দ।


🌼🌻🕉️🙏জয়তু স্বামীজী🙏🕉️🌻🌼


🙏🏵️🌻🌺জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🌺🏵️🌻🙏

🕉️🌺-------*অন্নপূর্ণারূপী মা সারাদা*--------🌺🕉️ || Maa Sarada As Maa Annapurna||

 

🕉️🌺-----*অন্নপূর্ণারূপী মা সারাদা*-----🌺🕉️




 দেশাড়া- গ্রামবাসী হরিদাস বৈরাগী বেহালা বাজিয়ে গান গাইতেন। তাঁর মুখে "কি আনন্দের কথা উমে!" গানটি গিরিশচন্দ্র ঘোষ শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। বৃদ্ধ শেষ বয়সে অর্থসঙ্কটে পড়েন। একদিন সকাল দশটার সময় তিনি মায়ের বাড়িতে ভিক্ষা করতে এলে শ্রীমা তাঁকে তেল মেখে স্নান করতে বললেন এবং পরে বারান্দায় বসিয়ে পরম আদরে মুড়ি-গুড় প্রভৃতি প্রসাদ দিলেন। বৃদ্ধ মুড়ি খাচ্ছেন আর শ্রীমা পাশে বসে গল্প করতে করতে পান সাজছেন। তখন প্রথম মহাযুদ্ধের কাল। চিরিদিকে চরম দুর্ভিক্ষ চলছে। বৃদ্ধ জানালেন তাঁর পরিধেয় বস্ত্র নেই। শ্রীমা সকালে স্নান করে নিজের নতুন কাপড়খানি শুকাতে দিয়েছিলেন। বৃদ্ধের কথা শুনে তৎক্ষনাৎ তা তুলে এনে তাঁকে দিলেন। শ্রীমায়ের মমতায় বিগলিত হয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে সেই দান গ্রহণ করলেন হরিদাস বৈরাগী।


Book Name:- "আমি মা সবার মা"

থেকে সংগৃহীত।

স্বমী প্রভানন্দ।


🙏🌺জননীং সারদাং দেবীং রামকৃষ্ণং জগদ্‌গুরুম পাদপাদ্মে তয়ো শ্রিত্বা প্রনমামি মূহুর্মূহুঃ🌺🙏


🙏🏵️🌻🌺জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🌺🏵️🌻🙏

শ্রীমাকে শ্রী শ্রী ঠাকুরের মাতৃজ্ঞানে পূজা || Worship of Maa Sarada By Thakur Shri Ramakrishna Paramhansa Deva.

   

শ্রীমাকে শ্রী শ্রী ঠাকুরের মাতৃজ্ঞানে পূজা






১২৭৯ সালের ২৪শে জৈষ্ঠ অমাবস্যা তিথিতে ফলহারিণী কালিকাপূজার দিন শ্রীমাকে ষোড়শীরূপে পূজা করলেন শ্রীরামকৃষ্ণ।  তাঁর সম্মুখে পূজার নৈবেদ্য প্রদান করে প্রার্থনামন্ত্র উচ্চারণ করলেন, "হে বালে, হে সর্বশক্তির অধীশ্বরী মা ত্রিপুরাসুন্দরী, সিদ্ধিদ্বার উন্মুক্ত কর, এঁর(শ্রীমায়ের) শরীর মনকে পবিত্র করে এঁর মধ্যে আবির্ভূতা হ‌ও এবং সর্বকল্যাণসাধন কর।" পূজার মধ্যে শ্রীমা বাহ্যজ্ঞান শূন্য হ‌য়ে সমাধিস্থা হলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ‌ও অর্ধবাহ্যদশায় মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে সমাধিরাজ্যে চলে গেলেন। সমাধিস্থা দেবীর সামনে সমাধিস্থ পূজক― এইভাবে দীর্ঘক্ষণ কেটে গেল। মাঝরাতের অনেক পরে শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি ভাঙল। তখন তিনি নিজেকে , নিজের সাধনার ফল, জপের মালা ইত্যাদি সর্বস্য 'দেবী'র পায়ে চিরকালের জন্য বিসর্জন দিয়ে পূজা শেষ করলেন। ক্রমশ শ্রীমা বাহ্যভূমিতে ফিরে এলেন। এই পূজার ফলে শ্রীমা শ্রীরামকৃষ্ণের সমস্ত সিদ্ধির অধিকারী হলেন। যে দেবীশক্তি তাঁর মধ্যে সুপ্ত হয়ে ছিল, এর দ্বারা তার উদ্বোধন হলো , যার সাহায্যে তিনি পরবর্তীকালে শ্রীরামকৃষ্ণের অসমাপ্ত লোককল্যাণ-ব্রত সম্পূর্ণ করেছিলেন। পত্নীকে জগজ্জননী জ্ঞানে পূজা আধ্মাত্মিক ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম।

Book Name:- "বিশ্ববরেণ্য শ্রীরামকৃষ্ণ" ব‌ই থেকে সংগৃহীত।

স্বামী লোকেশ্বরানন্দ।


🌺🌻🙏🕉️জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🕉️🙏🌻🌺

🌻🏵️🌾🌿🌻🌾🌿🌻🏵️🌾🌿🌻🏵️🌾🌿🌻🌷🌾🌿🌷🌾🌿🌺🌾🌿🌺🌾🌿

স্বামীজীর বন্ধু বাৎসল্যতা অবলম্বনে একটি ঘটনা::- A true story of Swami vivekananda about his love toward his childhood friend.

স্বামীজীর বন্ধু বাৎসল্যতা অবলম্বনে একটি ঘটনা::-



লাহোরে স্বামীজীর সঙ্গে দেখা বাল্যবন্ধু মতিলাল বাবুর। সে "Great Indian Circus" এর অন্যতম স্বত্বাধিকারী, সর্কাস দেখতে লাহোরে এসেছে। বহুদিন পরে বন্ধুকে দেখে স্বামীজী আগের মতোই মহা - উল্লাসে আলাপ জুড়ে দিলেন, কিন্তু মতিলাল তাঁর বিশ্ববিশ্রুত বন্ধুর কাছে খুব সঙ্কোচ বোধ করতে লাগলেন। শেষে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করলেন :: "ভাই তোমায় এখন কি বলে ডাকব?" স্বামীজী বললেন :: "মতি তুই কি পাগল হয়েছিস নাকি? আমি কি হয়েছি? আমিও সেই নরেন আর তুইও সেই মতি।" স্বামীজী এমনভাবে কথাগুলি বললেন যে, মতিলালবাবুর সমস্ত সঙ্কোচ দূর হয়ে গেলো।


Book name:- "সবার স্বামীজী"

থেকে সংগৃহীত*।

স্বামী লোকেশ্বরানন্দ।


🌺🌻🙏🕉️জয় ঠাকুর মা স্বামীজী🕉️🙏🌻🌺

🌺🌻🌼🌾🌾🌷🌷🏵️🏵️🌿🌿🌹🌹🌺

মানসপুত্র নেতাজী

 🌿 মানসপুত্র নেতাজী 🍁 🌻১৯০২ সালের জানুয়ারীতে সুভাষচন্দ্রের পিতা তাঁকে কটকের মিশনারী স্কুলে ভর্তি করে দিলেন, পুত্রের প্রাথমিক বিদ্যা লাভে...